বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৬ পূর্বাহ্ন

হলুদ দুধ কাদের এড়িয়ে চলা উচিত, জানেন?

হলুদ দুধ কাদের এড়িয়ে চলা উচিত, জানেন?

স্বদেশ ডেস্ক:

বহু শতাব্দী ধরে আয়ুর্বেদিক ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে হলুদ দুধ।এটি আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী।উপাদান দুটির মধ্যে দুধ হলো সুষম খাদ্য। আর হলুদ হলো আয়ুর্বেদের শ্রেষ্ঠ অ্যান্টিবায়োটিক। ফলে এই হলুদ দুধ ঠাণ্ডা থেকে দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসহ নানা রোগ থেকে আমাদের বাঁচায়। হলুদে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য একে সুপারফুডের মর্যাদা দেয়।

কিন্তু আপনি জানেন কি, এই জাদুকরী পানীয় খাওয়া সবার জন্য উপকারী নয়? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হলুদ দুধ কিছু মানুষের জন্য ক্ষতিকারক প্রমাণিত হতে পারে। আসুন জেনে নেওয়া যাক, কোন কোন মানুষের হলুদ দুধ পান করা এড়িয়ে চলা উচিত।

গর্ভাবস্থায় এড়িয়ে চলুন

সাধারণত হলুদ দুধ স্বাস্থ্যের জন্য অমৃত হিসেবে বিবেচিত হয়। তবে গর্ভাবস্থায় এটি খাওয়ার আগে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর কারণ হলো- হলুদে উপস্থিত কিছু উপাদান জরায়ুকে সংকুচিত করতে পারে, যার ফলে আপনি জরায়ুতে ক্র্যাম্প ও ব্যথার সম্মুখীন হতে পারেন।

এ ছাড়া গর্ভাবস্থায় প্রতিদিন হলুদ দুধ পান করলে রক্তপাতের ঝুঁকি বাড়তে পারে। বিশেষ করে যারা ইতিমধ্যেই রক্তপাতের সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য এই দুধ এড়িয়ে চলাই উচিত।

ডায়রিয়া ও বমি বমি ভাব

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, হলুদে কারকিউমিন নামক একটি বিশেষ উপাদান থাকে। এমন পরিস্থিতিতে যারা প্রতিদিন হলুদের দুধ পান করেন, তাদের ডায়রিয়া বা বমির মতো সমস্যায় পড়তে হতে পারে। মূলত, হলুদে পাওয়া কারকিউমিন একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, তবে এটি পেটের আস্তরণকেও জ্বালাতন করতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে প্রচুর পরিমাণে হলুদ খাওয়ার ফলে অনেকের পেটে জ্বালাপোড়া, ডায়রিয়া ও বমি বমি ভাবের মতো সমস্যা হতে পারে।

আয়রনের অভাব

আপনি যদি প্রতিদিন হলুদ দুধ পান করেন তবে আপনার শরীরে আয়রনের ঘাটতি হতে পারে। কারণ, হলুদ দুধে উপস্থিত আয়রন শোষণে বাধা দেয়। এই কারণে যারা বেশি পরিমাণে হলুদের দুধ পান করেন, তাদের শরীরে আয়রনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে।

লিভার সম্পর্কিত সমস্যা

হলুদের দুধকে সবসময়ই স্বাস্থ্যের জন্য একটি ওষুধ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কিন্তু আপনি জানেন কি, আপনার যদি লিভার সংক্রান্ত সমস্যা থাকে, তবে এটি পান করা আপনার জন্যও ক্ষতিকারক হতে পারে। মূলত, হলুদে কারকিউমিন নামক উপাদান পাওয়া যায় যা লিভারের জন্য ক্ষতিকর। তাই আপনি যদি ইতিমধ্যেই লিভারের সিমস্যায় ভুগে থাকেন, তাহলে প্রতিদিন হলুদ দুধ খাওয়া এড়িয়ে চলুন।

এ ছাড়া হলুদের দুধ খেলে কারও কারও হজমের ব্যাঘাত, অ্যাসিডিটি ও ডায়রিয়ার মতো সমস্যা হতে পারে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877